রোগ মুক্তির দোয়া

রোগ মুক্তির দোয়া মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআন নাযিল করেছেন মানবজাতি কল্যাণ ও সর্ব প্রয়োজনে কারণে। মানব জীবনে এমন কিছু হবে না যার উল্লেখ কুরআনে আসেনি সবকিছু মানব জীবনের উল্লেখ করা আছে কুরআনে।

রোগ মুক্তির দোয়াপবিত্র কুরআনে এমন কিছু আয়াত বাণী রয়েছে রক্তমুখী বা সিফা হিসেবে কাজ করে এবং অনেক ভালো পরিমাণ কাজ হয়। তাই মানুষের জন্য কল্যাণকর পুরান আয়াত দিয়ে মহান আল্লাহর কাছে হোক মুক্তি প্রার্থনা করা, আস্থা-বিশ্বাসের সঙ্গে তার সঙ্গে আমল করায় আমাদের কুরআনে বাণী রয়েছে।

কুরআনে প্রথম রোগ মুক্তির দোয়াসুরা ফাতেহা রোগ মুক্তি সবচেয়ে উপকারী আমল তাছাড়া আয়াত উল্লেখ করেছেন চোখ মুক্তি আমার হিসেবে গণ্য করা হয়। দুটি আয়াত নিম্ন উল্লেখ করা হলো রোগমুক্তি উদ্দেশ্যে নিম্ন আয়ত গুলো পড়ে তাহলে আয়াত থাকে রোগ লাইট থেকে মুক্তি দেবেন বলে বিশ্বাস করি।‘ওয়া ইজা মারিদতু ফা হুয়া ইয়াশফি-নি।

অর্থঃ আমি আল্লাহ কুরআন এবং কিছু নাযিল করি যা রোগের সুস্থ চিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত।

‘ওয়া নুনাজ্জিলু মিনাল কুরআনি মা হুয়া শিফাউও ওয়া রহমাতুল্লিল মু’মিনি-ন।’

অর্থ : আমি (আল্লাহ) কুরআনে এমন কিছু নাজিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত।

রোগী নিজে উপযুক্ত আয়তন গুলো অধিক পরিমাণ পড়লে মহান আল্লাহ তাকে সব ধরনের রোগ মুক্তির দোয়া  থেকে মুক্তি দেবেন সিফাত আমলে দান করবেন আমিন।

ক্যান্সার রোগ থেকে মুক্তির দোয়াঃ

রোগ মুক্তির দোয়া আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে সুস্থ অসুস্থতা উভয় আল্লাহর নেয়ামত। মানুষ ভিন্ন সময় ভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হয় এবং অসুস্থ হয়। তবে সবার ক্ষেত্রে রোগের ধারণা এক রকম হয় না। অসুস্থ যে ধরনের হোক না কেন মানুষ দুশ্চিন্তায়রোগ মুক্তির দোয়া হয় বেশি। আল্লাহর কাছে আরোগ্য কামনা করতে থাকেন। 

যে মানুষ মনে করতে থাকে হয়তো তার সময় শেষ। এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে হবে ও বেশি বেশি নামাজ কালাম পড়তে হবে। অনেকেই প্রশ্ন করে  হলে  আক্রান্ত দোয়া করতে সম্পর্কে। ওসমান ইবনে ইবনে হুনাইফ (রা.) বর্ণিত হয়েছে অন্ধ ব্যক্তি নবী  (সা.) কাছে এসে বললেন, হে আল্লাহ প্রিয় নবী আমাদের জন্য আল্লাহ তাআলার কাজের দোয়া করেন তিনি আরোগ্য দান করেন। যেমন, ক্যান্সার কঠিন রোগ থেকে রোগ মুক্তির দোয়া, আরবিঃ

اللَّهمَّ إنِّي أسألُكَ وأتوجَّهُ إليكَ بنبيِّكَ محمدٍ صَلَّى اللَّهُ عليْهِ وعلى آلهِ وسلَّمَ نبيِّ الرحمةِ ، 

يا محمدُ إنِّي أتوجَّهُ بكَ إلى ربِّي في حاجَتي هذه فتَقضى، وتُشفعُني فيه وتشفعُهُ فيَّ

বাংলা উচ্চারণ :আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ওয়া আতাওয়াজ্জাহু ইলাইকা বিনাবিয়্যিকা মুহাম্মাদিন নাবিয়্যির রহমাতি ইন্নি তাওয়াজ্জাহতু বিকা ইলা রব্বি ফি হাজাতি হাজিহি লিতুকদ্বা লি, আল্লাহুম্মা ফাশাফফি’হু ফিয়্যা।

অর্থঃ হে আল্লাহ তোমার কাছে আমি প্রার্থনা করি এবং তোমার প্রতি মনো নিবেশ করি তোমার নবী মোহাম্মদ (সা.) এ দয়ার মাধ্যমে। তোমার দিকে ঝুঁকে পড়লাম, আমার প্রয়োজনের জন্য ধাবিত হলাম, যাতে আমার এ প্রয়োজন পূর্ণ করে দেয়া হয়। আমার প্রসঙ্গে তুমি তার সুপারিশ কবুল করো হে আল্লাহ।
ক্যান্সার একটি মারাত্মক রোগ এ রোগের চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহ যা ধারণ মানুষ পক্ষে করা অসম্ভব। তাই আল্লাহর কাছেরোগ মুক্তির দোয়া কামনা করে আমরা আমল করার জন্য  পারি।


গোপন রোগ থেকে মুক্তির দুরুদঃ


রোগ মুক্তির দোয়া আমাদের অনেক সময় নিজেদের দৈনিক জীবন চলার পথে ভুল করে ভিন্ন ধরনের সৃষ্টি করি। তাই যে সকল গোপন রোগ আমাদের দ্বারা তৈরি হয়েছে মহান আল্লাহ পাকের কাছ থেকে সে কাছ থেকে দ্রুত থেকে ক্ষমা চাইতে পারি। আপনার যারা গোপন রোগ থেকে মুক্তি দ্রুত সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের এখন জানিয়ে দিলাম। 
মহান আল্লাহ পাক আপনাকে রোগ প্রদান করতে পারেন। রোগের সময় ধৈর্য ধারণ করে আল্লাহ পাকের কাছ থেকে সিফাত চাইতে পারেন। কোরআন শরীফে অনেক আয়াত রয়েছে আয়াতগুলো গুরুত্বপূর্ণ অর্থবহন করে। আর কেউ যদি গোপন কোনো অন্যায় থাকেন অথবা গোপন কোন কাজ করার ফলে সেটা থেকে যদি কোন ধর্মের রোগে সৃষ্টি হয় তাহলে আল্লাহ পাকের ক্ষমা চাইলে তিনি অবশ্যই বাধ্যতা কখনো খালি হাতে ফিরে দেবেন না।
 যদি সামনে অসুস্থ হয়ে থাকেন তাহলে কোন সমস্যা বা অজুহাত না দেখে সরাসরি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও ইবাদত আমাদের শামিল হতে হবে। আর সর্বপ্রকার রোগ মুক্তির দোয়া হিসেবে নিচে এই দোয়া গুলো হল,

اللهم صل على سيدنا محمد و على آل سيدنا محمد بعدد كلّ داء و دواء و بعدد كلّ علّة و شفاء .

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি সায়্যিদিনা মদহাম্মাদিন বি‘আদাদি কুল্লি দা‘ইওঁ ওয়া দাওয়া . ওয়া বি‘আদাদি কুল্লি ইল্লাতিওঁ ওয়া শিফা 

হে আল্লাহ ! তুমি আমাদের নেতা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর বংশধরগণের ওপর মানুষের সব ধরণের রোগ , ঔষধ ও আরোগ্যের সংখ্যারোগ মুক্তির দোয়া  পরিমাণ রহমত ও শান্তি প্রেরণ করো ।অর্থ সহকারে আপনার প্রতিটি লাইন বুঝে নিতে পারবেন যারা আরবিতে করবেন নিবেন এবং বাংলা উচ্চারণ করতে চাইলে বাংলায় পড়তে পারবেন।

যেভাবে খরচ করলে আল্লাহ খুশি হনঃ

পবিত্র কুরআন মুফতি গুণাবলীতে বেলা বলা হয়েছে, কিতাবের কোন অংশে নেই মুত্তাক্তের জন্য পত্র নিদর্শক। যারা আপনার ওপর অগণিত গ্রন্থর উপর বিশ্বাস করে এবং আখিরাতকে বিরলভাবে বিশ্বাস করে। তাদের রব হেদায়েতের ওপর রয়েছে এবং তারাই সফল কাম। পবিত্র কোরআন কেয়ামতের দিনে আসার আগে মুমিনদের রোগ মুক্তির দোয়া  ভালো কাজ সম্পন্ন করা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
 যারা ঈমান আনে নামাজ প্রতিষ্ঠান করে এবং তাদের যা দিয়েছে তা অনেককে প্রকাশ্য ব্যয় করে বন্ধুত্ব কাজে আসবে না।অর্থাৎ, বিভিন্ন হাদিস মুমিনদের দান করতে উৎসাহিত দেয়া হয়েছে তবে তিনটি আমল রয়েছে তা হলো—সদকায়ে জারিয়া, উপকারী ইলম ও চরিত্রবান ছেলে, যে তার জন্য দোয়া করে। মানুষের উপকার শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয়। 
মুমিনকে আনন্দ দাও তার দুঃখ-কষ্ট লাগবে কাজে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের মধ্যে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় যেই ব্যক্তি সেই ব্যক্তি উপকার করে রাসূল সাল্লাল্লাহু (সা.)। কোন মুসলিমকে আনন্দ দেওয়া কিংবা তার কোন বিপদ দূর করা বা ঋণ পরিশোধ করা ক্ষুধা নিবারণ করা। এই মসজিদে ইফতার করার চেয়ে কোন ভাইয়ের প্রয়োজনে হেঁটে যাওয়া আমি খুব পছন্দ করি। 
অথচ যে চাইলে তো প্রয়োগ করতে পারেন আল্লাহ তারা অন্তরকে কেয়ামতের দিন পূরণ করবেন ঘটবে। পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা হিসেবে মানুষকে জীবন সফল বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদর্শন করে। যা গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতি হলো বিশেষ প্রশাসন করা মনে প্রানে ধারণ করা যে সকল সম্পদের মালিক আল্লাহ রাব্বুল আলামীন অনেক কিছু তৈরি করতেও মুসলিম কে এ দৃষ্টিভঙ্গি লালন করতে হবে। 
অন্যতম কল্যাণ হল অহংকার বিদ্রোহিত হয় যাবে না। যিনি এ দৃষ্টিভঙ্গি লালন করতে পারেন দৃষ্টিভঙ্গির ধারণ করতে পারেনরোগ মুক্তির দোয়া  তার মধ্যেই অহংকার থাকে না। দুনিয়াতে যত  আনাচার হাসাদ হয় অনেক কারণে মধ্যে অর্থ উন্নত। চার হাজার কোটি টাকা আছে, সে আরও সম্পদ উপার্জন করার জন্য অপ্রাণ চেষ্টা করে।
 আর্থিকভাবে তাকে কেউ অতিক্রম করে যাবে এটি মানব মানতে চান না। ঈমানদার যখন মনেপ্রানে বিশ্বাস করবে যে, সকল সম্পদরোগ মুক্তির দোয়া  আল্লাহর দেওয়া তখন অহংকার হবে না। ফলে সে আর সম্পদ উৎপাদনে প্রতিযোগিতায় বিলুপ্তি হবে না। ইসলাম সম্পর্কে উপার্জনের কথা বলে সম্পদ উপার্জনে পদ্ধতি সম্পর্কে বিধি নিষেধ আরোপ করে। 
ইসলাম অপচয় অপব্যয় করতে যেমন নিষেধ করে, কৃত্রিপক্ষতা আজ মনে প্রয়োজনীয় খরচ না করা দাম সদকা না করা। আমাদের নবীজি আমাদেরকে মন মাধ্যম পন্থা শিক্ষা দিয়েছেন। ও মুমিনকে অপপ্রচারকৃতপক্ষে তার মাঝামাঝি থাকতে হবে হবে হবে। আল্লাহ আমাদের তৌফিক দান করুন।

রোগ মুক্তির জন্য নবীজি (সা.) যে আমল করতেনঃ

নবী (সা.) বলেছেন, সত্যর নিকটবর্তী থাকা সরল সোজা পথ অবলম্বন কর। মুমিনের যে কষ্টই হোক না কেন তার গায়ে যদি কোন কাটা বিধি সবকিছু তার গুনাহ কাফার হয়। অসুস্থ ধারা মুমিন বান্দার স্তর উন্নত হয়।রোগ মুক্তির দোয়া  মহান আল্লাহ তার মঙ্গল চান তাকে দুঃখ কষ্টে ফেলুন নবী সাল্লাল্লাহু সালামের বর্ণিত। অসুস্থ আল্লাহর নেয়ামত, তেমনি অসুস্থ হলে পানাহা পাওয়ার জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করা উচিত।
اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ مُذْهِبَ الْبَاسِ اشْفِ أَنْتَ الشَّافِي لاَ شَافِيَ إِلاَّ أَنْتَ شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا
উচ্চারণঃআল্লাহুম্মা রাব্বান-নাসি মুজহিবাল বা’সি, ইশফি আনতাশ-শাফি, লা শাফি ইল্লা আনতা শিফায়ান লা য়ুগাদিরু সুকমা।
অর্থঃ হে আল্লাহ, মানুষের প্রতিপালক ও কষ্টকর আমাকে আরোগ্য দিন আপনি ছাড়া কোন আরোগ্যকারী নেই আরোগ্য দিন যেন কোন রোগ অবশিষ্ট না থাকে।তবে ইসলাম তানিয়া বস্তুতে ফু দিতে নিষেধ করার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাসুল সালাম পানপাত্রে নিঃশ্বাস ফেলতে ও তার মধ্যে ফু দিতে নিষেধ করেছে।
 মধু কালোজিরা ইত্যাদি ভিন্ন খাদ্য গ্রহণে উৎসাহিত করে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বললেন তার উদর থেকেরোগ মুক্তির দোয়া  নির্গত হয়ে বিধুন বর্ণের পানি যাতে মানুষের জন্য রয়েছে আরোগ্য। কালোজিরা মতো ছাড়া অন্য সব রোগের আরোগ্য রয়েছে।

 লেখক মন্তব্যঃ

রোগ মুক্তির দোয়া, আমাদের অনেক ধরনের রোগ লাই হয়ে থাকে বড় ছোট। কিন্তু মৃত্যু ছাড়া সব কিছু দোয়া কোরআন এবং গ্রন্থে উল্লেখ আছে। ইসলাম অনেক ধরনের জিনিস নিষেধ করাও আছে। যেমন অনেকে অসুখ-বিসুখ হলে পানি ফু দিয়ে পান পাতা পোদে এগুলো করে। কিন্তু আব্দুলরোগ মুক্তির দোয়া  রাজ্জাক বর্ণিত তিনি বললেন রাসুল সালাম সালাম পানপাত্রের নিষেধ ফেলতে তার মধ্যে ফু দিতে নিষেধ করেছ। মহান আল্লাহ বললেন নির্গত হয়ে বিধি বর্ণের পানি যাতে মানুষের জন্য রয়েছে আরোগ্য। 
যেমন মধু কালোজিরা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের খাদ্য গ্রহণে উৎসাহিত করে অনেক জটিল রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কালোজিরা মধ্যে মৃত্যু ছাড়া অন্য সব ধরনের রোগ রয়েছে সমাধান। আর আল্লাহর নেয়ামতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এবং কিছু সূরার মাধ্যমে আমাদের অসুখ বিসুখ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর ব্লগারের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন সবার রিভিউ দেয়

comment url